ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল - ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প

আপনি কি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল সম্পর্কে জানেন ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকে আমরা জানব ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল কত। আপনি যদি আর্টিকেলটি সম্পন্ন পরেন তাহলে আপনিও জেনে যাবেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য। সেই সাথে আরো জানতে পারবেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প সম্পর্কে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল

সেই সাথে আরো জানতে পারবেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন তথ্য সংযোগ স্থান কোন গাড়ির জন্য কত টাকা টোল ফ্রি নির্ধারণ করা হয়েছে কবে উদ্বোধন করা হয়েছে আরো বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল ও প্রকল্প

ভূমিকা

আজকের আর্টিকেলটি আমাদের ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সম্পর্কের উপরে। আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাঙ্খিত সকল তথ্য জেনে যাবেন। 

বিভিন্ন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প,উদ্বোধন, সংযোগস্থান, দৈর্ঘ্য টোল ইত্যাদি আরো সব সম্পর্কে জানতে পারবেন। পুরো আর্টিকেলটি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিস্তারিত সকল কিছু আলোচনা করা হবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সম্পর্কে না জানা থাকলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কি

নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রথমে এই প্রশ্নটিই এসেছে যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কি? ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে কোন রাস্তার উপরে অন্য গন্তব্যে যাওয়ার একটি উড়াল সড়ক যা অবিকল ফ্লাইওভারের মতো দেখতে। 

মূলত এটি ফ্লাইওভারের মতোই কাজ করে। কিন্তু এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের মাধ্যমে একটি সড়ক থেকে আপনি বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য সেই সড়কে এর মধ্য দিয়ে আপনি অন্য গন্তব্য যেতে পারবেন। মূলত এলিভেটেড এক্সপ্রেস এর মাধ্যমে এক গন্তব্য থেকে আপনি অন্য যেকোনো বিভিন্ন শহরে যেতে পারবেন।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভার এর মধ্যে পার্থক্য 

ফ্লাইওভার হল রাস্তার উপর আরেকটি উড়াল সেতু যার মাধ্যমে আপনি সেম একই গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে পারবেন। ফ্লাইওভার সাধারণত কোন রেলপথের উপর দিয়ে নির্মিত হয় না বা কোন রাস্তা দিয়ে নির্মিত হয় না।

 শুধুমাত্র জংশন এলাকায় এটি উপর দিয়ে একটি মাত্র গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারে আর তাই হচ্ছে ফ্লাইওভার। সড়কের ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট অপেক্ষাকৃত বেশি ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট রাস্তা তৈরি করা হলে তাকে ফ্লাইওভার বলে। আপনি বলতে পারেন কোন সিগন্যাল ছাড়া এক রাস্তাকে আরেক রাস্তার সঙ্গে মিলায় ফ্লাইওভার।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে অবিকল ফ্লাইওভার বা ওরাল সেতুর মতন দেখতে কিন্তু এটাতে আপনি শহরের বিভিন্ন জায়গায় বা বিভিন্ন শহরে যাইতে পারবেন এক রাস্তার মাধ্যমে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এর মাধ্যমে আপনি এক শহর থেকে যেকোনো সাত আট টি শহরে যেতে পারবেন।

 একটি এক্সপ্রেস এর সাথে সাতটি শহরের রাস্তার সংযোগ করেছে এজন্য এটিকে বলা হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেস। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া যায় আর ফ্লাইওভার হচ্ছে শুধুমাত্র একটি জায়গায় যাওয়া যায়।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প

বর্তমান সরকার অনেক প্রজেক্টের উপরে কাজ করছে কিন্তু সবথেকে বড় প্রজেক্ট হিসেবে ধরা হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস এর প্রকল্প কে। এটি ঢাকার যানজট দূর করবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের গতিসীমা হবে ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার। 

এক্সপ্রেস ওয়েটিং নির্মাণ হচ্ছে সেতু বিভাগের তত্ত্বায়ণে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসের ১৯.৭৪ কিলোমিটার প্রকল্পে উঠানামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১ টি স্টাম্প রয়েছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কিলোমিটার প্রতি খরচ হচ্ছে ১৫১ কোটি টাকা।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন

ঢাকা এলিব্রেটেড এক্সপ্রেসের প্রকল্পের কাজ বর্তমানে চলিত রয়েছে। বর্তমানে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১১.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটি হচ্ছে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট। 

এতটুকু কাজ বর্তমানে সমাপ্ত হয়েছে। এইটুকু অংশের ও ঢাকা এলিব্রেটেড এক্সপ্রেস এর উদ্বোধন করেছেন গত ২ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সফলভাবে নিজে টোল দিয়ে সে রাস্তা দিয়ে চলাচল করে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সংযোগস্থান

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ঢাকা জেলার বিভিন্ন শহরগুলো একত্র সংযোগস্থান করেছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসের এর মাধ্যমে সড়ক পথে চলাচল দ্রুত যাওয়ার সম্ভাব হয়েছে। আগে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যেতে লাগতো এলিভেটেড এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ১০ মিনিটে যাওয়া সম্ভব।

এ রকমই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস এর মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় দ্রুত যাওয়া সম্ভব। বিভিন্ন এলাকায় চলাচলের জন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল নির্ধারণ করেছেন সরকার।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস এর সংযোগ স্থানগুলি হল ঃ
  • ঢাকা বিমানবন্দর থেকে
  • মহাখালী
  • বনানী
  • তেজগাঁও
  • মগবাজার
  • কমলাপুর
  • যাত্রাবাড়ী
  • সায়েদাবাদ
  •  কুতুবখালী
উপরোক্ত জায়গাগুলো হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যাওয়ার জায়গা। অর্থাৎ আপনি ঢাকা বিমানবন্দর থেকে খুব অল্প সময়ে এসব জায়গাগুলো যাইতে পারবেন।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দৈর্ঘ্য

সম্পূর্ণ প্রজেক্ট এর ভিত্তিতে এবং সম্পূর্ণ এলাকার দৈর্ঘ্য হিসেবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য হল প্রায় ৪৭ কিলোমিটার। ঢাকা এলিব্রেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মানুষের চলাচলের জন্য বা উঠানামার জন্য ২৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ৩১ টি রেম রয়েছে। যার ফলে সকলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সফলভাবে উঠানামা করতে পারবে। বর্তমানে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এর ১১ কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহারের জন্য চালু করা হয়। বাকি কাজ চলমান।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চলাচলের জন্য বিভিন্ন গাড়ির উপরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল নির্ধারণ করেছেন সরকার। সরকার সকল গাড়িকে চারটি ক্যাটাগরির মধ্যে রেখেছেন। যা এ টোল দেওয়া সকলের জন্য বাধ্যতামূলক। নিচে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রোড সম্পর্কে বলা হলো
  • ক্যাটাগরি ০১   - কার ট্যাক্সি জিভ স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেইকেল মাইক্রোবাস ১৬ সিটের কম যেগুলো ও হালকা ট্রাক তিন টনের কম যেগুলো সেগুলো নির্ধারণ করেছে ৮০ টাকা।
  • ক্যাটেগরি ০২  -  মাঝারি ট্রাক যেগুলো ছয় চাকা সেগুলো ট্রাকের টোল নির্ধারণ করেছে ৩২০ টাকা।
  • , ক্যাটেগরি ০৩ - ট্রাক ৬ চাকার বেশি যেগুলো সেগুলোর জন্য টোল নির্ধারণ করেছে ৪০০ টাকা।
  • ক্যাটেগরি  ০৪ - সব ধরনের বাস যেগুলো ১৬ সিটের বেশি সেগুলোর জন্য ১৬০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সকল পরিবহনের টোল। বিভিন্ন ক্যাটাগরির অনুযায়ী যে পরিমাণ যে ক্যাটাগরির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত তাকে নির্ধারিত নির্দিষ্ট টোল দিতে হবে।

শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলটি ছিলঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল - ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্য। আপনি যদি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে উপর থেকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। তাহলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল - ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যানবাহনের টোল সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনার মূল্যবান মতামতটি জানিয়ে দিন আমাদের কমেন্ট বক্সে। যদি আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন অন্যদের কাছে। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লার্নিং পয়েন্ট ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url