জুম্মার দিনের আমল - জুম্মার দিনের ফজিলত

 

প্রিয় পাঠক আপনি কি জুম্মার দিনের আমল বা জুম্মার দিনের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন ? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন আপনি আজকের আর্টিকেলের মধ্যে জানতে পারবেন জুম্মার দিনের আমল ও জুম্মার দিনের ফজিলত সম্পর্কে । সেই সাথে আরো জানতে পারবেন জুম্মার দিনের করনীয় সম্পর্কে।

জুম্মার দিনের  আমল ও জুম্মার দিনের  ফজিলত

জুম্মার দিনের অনেক করণীয় আছে যেগুলো আপনি আজকের আর্টিকেলের মধ্যে জানতে পারবেন। যেমন জুম্মার দিনের করনীয় কাজ আমলসমূহ জুম্মার দিনের ফজিলত জুম্মার দিনে সুন্নত ইত্যাদি এরকম যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ জুম্মার দিনের আমল ও জুম্মার দিনের  ফজিলত

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করব জুম্মার দিনের সম্পর্কে। জুম্মার দিন হচ্ছে গুনাহ মাফের দিন। আজকে আমরা আর্টিকেলের মধ্যে জানব জুম্মার দিনের আমল ফজিলত আসরের পর আমল শ্রেষ্ঠ আমল জুম্মার দিনের করণীয় কি ইত্যাদি যাবতীয় সম্পর্কে।

জুম্মার দিনের আমল

জুম্মার দিনের কিছু বিশেষ আমল রয়েছে এবং কিছু বিশেষ সময় রয়েছে সে সময় যদি আপনি আমল করে দোয়া করেন ইনশাআল্লাহ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনার দোয়া কবুল করবেন। জুম্মার দিনে যেসব আমল আপনি করতে পারেন তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

  • সর্বপ্রথম আমল জুম্মার দিনে ফজরের নামাজ আদায় করা। এবং সেদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। জুম্মার দিনে ফজর নামাজ পড়া খুবই উত্তম।
  • সূরা কাহাফ পাঠ করা। রাসুল (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি জুম্মার দিনে সূরা কাহাফ পাঠ করবে সে ব্যক্তি এ সূরা পাঠ করার জন্য ২ জুম্মার মধ্যবর্তী সময় আলোকিত থাকবে।
  • বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করা। কারণ জুম্মার দিনে রাসুল (সা.) এর কাছে আমাদের দরুদ পেশ করা হয়।
  • সবার আগে খুতবা শুরু হওয়ার আগে মসজিদে যাওয়া।
উপরোক্তা বিষয়গুলি হচ্ছে জুম্মার দিনের বিশেষ আমল আপনি যদি এসব আমল গুলো করতে পারেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনার অনেক সওয়াব হবে এবং আপনি যদি বিশেষ সময়ে দোয়া করতে পারেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনার সকল দোয়া কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ।

জুম্মার দিনের ফজিলত

জুম্মার দিন হচ্ছে মুসলিমদের জন্য একটি ঈদের দিন। জুম্মার দিনের গুরুত্বপূর্ণ মুসলমানদের কাছে খুবই অপরিসীম। জুম্মার দিন হচ্ছে মুসলমানদের একটি গুনাহ মাফের দিন। জুম্মার দিনের ফজিলত অনেক রয়েছে। নিচে জুম্মার দিনের ফজিলত সম্পর্কে তুলে ধরা হলোঃ

  • জুম্মার দিনে সর্বপ্রথম আমাদের প্রথম নবী ও আদি পিতা হযরত আদম আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছিলেন। 
  •  এই জুম্মার দিনে মহান রাব্বুল আলামিন হযরত আদম আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছিলেন। 
  • আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জুম্মার দিনেই হযরত আদম আলাইহিস ওয়াসাল্লামকে জুম্মার দিনে জান্নাত থেকে বের করে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছিলেন।
  • জুম্মার দিনে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে হযরত ইসরাফিল (আ.) কে  সিংগাই ফু দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে কিয়ামত সংগঠিত করবে।
  • জুম্মার দিনের শুরুতে বা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আদম সন্তানের আমল আল্লাহর সামনে পেশ করা হয়।
উপরের  বিশেষ ঐতিহাসিক ফজিলত গুলো দ্বারা আমরা বুঝতে পারি যে জুম্মার দিন সাধারণ দিনের মতো নয়। জুম্মার দিন হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। জুম্মার দিন মুসলিমদের জন্য একটি গুনাহ মাফের দিন।

জুম্মার দিনের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। আপনি যদি জুম্মার দিনের ফজিলত গুলো জেনে জুম্মার দিনের আমল করতে পারেন তাহলে আপনার দোয়া অবশ্যই কবুল হবে। জুম্মার দিনের দোয়া কবুল হয়। আল্লাহতালা জুম্মার দিনের একটি সময়ের দোয়া কবুলের সময় হিসেবে করে দিয়েছেন। যে সময়টা হচ্ছে জুম্মার দিনের বিশেষ একটি সময়।

জুমার দিনের আসরের পরের আমল

জুম্মার দিনের আমল হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে জুম্মার দিনের আসরের পরের আমল করা। উপরে বলা জুম্মার দিনের বিশেষ সময় টা হচ্ছে এই সময় বা জুম্মার দিনের আসরের পরের সময়। এই সময়টা হচ্ছে মুসলমানদের দোয়া কবুলের সময় বা গুনাহ মাফের সময়।

কোন ব্যক্তি যদি জুম্মার দিনের সকল আমল করার পর জুম্মার দিনের আসরের পর সঠিক মত আমল করতে পারে বা আল্লাহর কাছে যদি দোয়া করে তাহলে অবশ্যই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার দোয়া কবুল করবেন কারণ এই সময় দোয়া কবুল করেন আল্লাহ তাআলা।

এ সময় আপনি বেশি বেশি আল্লাহ তায়ালা জিকির করুন দুরুদ শরীফ পাঠ করুন সূরা কাহাফ পাঠ করুন । আপনি যদি ছেলে হন মসজিদে গিয়ে আমল করুন। নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। ইনশাআল্লাহ আমল করলে এবং দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা দোয়া কবুল করবেন।

জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল

আপনি কি জানেন জুম্মার দিনের আমল এর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ আমল কোনটি ? তাহলে চলুন জেনে নিই । জুম্মার দিনের আমল এর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে এ দিনের নামাজ বা জুম্মার নামাজ। অবশ্যই আপনাকে সকল ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে। জুম্মার দিনের নামাজ হচ্ছে এ দিনের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল।

সাধারণত বাকি দিনের এ সময় বা জোহরের সময় নামাজ হচ্ছে চার রাকাত। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা এই দিনের বৈশিষ্ট্য হিসেবে এই সময়ের নামাজটাকে দুই রাকাত করেছে। তার সাথে বক্তব্য ও খুতবা দেওয়ার বিধান দিয়েছেন। যাতে সকল মুসলমান ভাই এদিনে মসজিদে যেয়ে বক্তব্য ও খুতবা শোনার পরে নামাজ আদায় করে।

জুম্মার দিনের সুন্নত করণীয়

জুম্মার দিনের সুন্নত করণীয় রয়েছো অনেক। জুম্মার দিনে সুন্নত পালন করলে আপনি অনেক সওয়াব এর অধিকারী হবেন। আপনি যদি জুম্মার দিনের সুন্নত বা করণীয় গুলো না জেনে থাকেন তাহলে নিচে থেকে জেনে নিন ঃ

  • জুম্মার দিনের প্রথম সুন্নত বা করণীয় হচ্ছে উত্তম রূপে গোসল করা।
  • জুম্মার দিনে আরেকটি বিশেষ আমল হচ্ছে সুন্দর পোশাক পরিধান করা। আপনার কাছে যে পোশাকটি বেশি পছন্দ সেই পোশাকটি পড়ে যাওয়া।
  • সুগন্ধি বা আতর ব্যবহার করা জুম্মার দিনের একটি সুন্নত।
  • জুম্মার দিনে বক্তব্য ও খুতবা শোনা সুন্নত।
  • আপনি জুম্মার দিনের নামাজ আদায় করবেন এজন্য আপনাকে চেষ্টা করা আগে মসজিদে যাওয়া।
  • জুম্মার নামাজের সুন্নত নামাজ আদায় করা
  • মসজিদে চুপচাপ বসে থাকা
উপরের বিষয়গুলি হচ্ছে জুম্মার দিনের সুন্নত বা করণীয়। জুম্মার দিনে আপনি যদি এই আমলগুলো করেন তাহলে অধিক সওয়াবের অধিকারী হবেন।

শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা জানলাম জুম্মার দিনের আমল জুম্মার দিনের ফজিলত জুম্মার দিনের দোয়া কবুলের সময় জুম্মার দিনে সুন্নত ও করণীয় জুম্মার দিনের শেষটা আমল ইত্যাদি জুম্মার দিনের যাবতীয় সকল তথ্য সম্পর্কে। আমরা চেষ্টা করব জুম্মার দিনের সকল আমলগুলো করার।

জুম্মার দিন হচ্ছে গুনাহ মাফের দিন ও দোয়া কবুলের দিন। আমরা চেষ্টা করব আসরের পরের সময় আল্লাহতালার কাছে দোয়া করে দোয়া কবুল করানোর জন্য। কেননা জুম্মার দিনের আসরের পরে দোয়া কবুল হয়। এবং সকল আমল আমরা মেনে চলার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো আপনার মূল্যবান মতামতটি জানিয়ে দিন আমাদের কমেন্ট বক্সে। আজকের আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার কাছে। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লার্নিং পয়েন্ট ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url