বাচ্চাদের টাইফয়েড থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

প্রিয় পাঠক বাচ্চাদের টাইফয়েড থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় আপনি কি সম্পর্কে খোঁজাখুঁজি করছেন বা জানতে চাচ্ছেন ?? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি আজকের আর্টিকেলের ভিতরে জানতে পারবেন বাচ্চাদের টাইফয়েড থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় রিলেটেড যাবতীয় সকল তথ্য।
বাচ্চাদের টাইফয়েড থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
সেই সাথে আরো জানতে পারবেন বাচ্চাদের টাইফয়েড হলে কি কি লক্ষণ দেখা যায় এবং বাচ্চাদের টাইফয়েড হলে আমাদের করণীয় কি এবং টাইফয়েডের জ্বর ভালো হতে কতদিন সময় লাগে ইত্যাদি এ সকল তথ্য সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ বাচ্চাদের টাইফয়েড থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলের ভিতর আলোচনা করব বর্তমান রিসেন্ট ছড়িয়ে যাওয়া শিশুদের ক্ষেত্রে অধিক সেটি হল টাইফয়েড। আমরা আজকে আলোচনা করব বাচ্চাদের টাইফয়েড থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়।

সেইসাথে আরো আলোচনা করব এবং জানবো টাইফয়েডের লক্ষণ গুলো কি কি এবং টাইফয়েড থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে এবং টাইফয়েড জ্বর ভালো হতে কতদিন লাগে ইত্যাদি এর সকল তথ্য সম্পর্কে জানব।

বাচ্চাদের টাইফয়েডের লক্ষণ

সাধারণত বাচ্চার টাইফয়েড হয়েছে বোঝার জন্য টাইফয়েডের কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলোর ভিত্তিতে কনফার্ম হওয়া যায় যে বাচ্চা টাইপ টাইফয়েডহয়ে যায়। তাহলে চলুন জেনে নিই বাচ্চাদের টাইফয়েড এর লক্ষণ গুলো কি কি সে সম্পর্কে ঃ

  • প্রথমে তো বাচ্চা জ্বরে আক্রান্ত হবে
  • জ্বরের তাপমাত্রা 100 এর উপরে থাকবে
  • খাওয়া দাওয়ার প্রতি রুচি কমে যাবে
  • জ্বর কমবে না
  • জ্বর থাকবে ১০ থেকে ১৫ দিন
  • পাতলা পায়খানা হবে
  • পেট ব্যথা হবে
  • শরীর ক্লান্ত হয়ে থাকবে এবং সব সময় কান্না করবে
  • কাশি হবে
উপরে উল্লেখিত যদি লক্ষণগুলো কোন শিশুর মধ্যে দেখা যায় তাহলে সেই শিশু টাইফয়েডের মধ্যে আক্রান্ত রয়েছে। এগুলো হচ্ছে টাইফয়েড এ আক্রান্ত এর লক্ষণ।

আরো এরকম অনেক লক্ষণ রয়েছে কিন্তু এগুলো হচ্ছে মেন লক্ষণ। এ সকল লক্ষণ গুলো দেখতে পেলে দ্রুত ঘরোয়া উপায় ডক্টরের সঙ্গে ভিজিট করে চিকিৎসা নিতে হবে।

বাচ্চাদের টাইফয়েড থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

টাইফয়েড একটি মারাত্মক রোগ। একদম ই অবহেলা করা যাবে না। টাইফয়েড হলে কি করা উচিত এবং কি করা উচিত নয় এবং কিভাবে ঘরোয়া পায়ের মাধ্যমে চিকিৎসা করবেন তার নিচে তুলে ধরা হবে।

  • টাইফয়েড হলে বাচ্চাকে বেশি বেশি পানি পান করান। বেশি বেশি পানি পান করলে বাচ্চা শরীরে পানি শূন্যতা এর ঘাটতি পূরণ হবে যার ফলে বেশি পানি পান করাতে হবে।
  • বাচ্চাকে তরল খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। ভারী খাবার একদম খাওয়ানো যাবে না। তরল খাবার খাওয়ানোর ফলে শরীরে হালকা থাকবে।
  • বাচ্চাকে যত পরিমান পারবেন তাকে রেস্ট বা বিশ্রাম করতে দিন।
  • জ্বর যদি খুব বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে তাহলে জ্বরের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ডক্টরের সাজেস্ট করা ওষুধ খাওয়ান।
  • কাশি হলে তুলসী অথবা আদা খাওয়ানোর চেষ্টা করুন যা কাশির জন্য খুবই কার্যকরী।
  • ফুটানো পানি খাওয়াতে হবে
  • অল্প সময়ের মধ্যে খুব তাড়াতাড়ি ডাক্তারের সাথে সাজেস্ট করুন। টাইফয়েড একটি মারাত্মক রোগ। যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিৎসা নিন।

উপরে উল্লেখিত উপায় গুলো হচ্ছে টাইফয়েড হলে আপনি বাড়িতে কি করনীয় রয়েছেন সেগুলো সম্পর্কে। অর্থাৎ আপনার বাচ্চার যদি টাইফয়েড হয়ে থাকে তাহলে আপনি উপরে করনীয় গুলোর মাধ্যমে বাচ্চাকে কিছু পরিমাণ সুস্থ রাখতে পারবেন।

বাচ্চাদের টাইফয়েড হলে করণীয়

বাচ্চাদের টাইফয়েড হলে কি কি করণীয় রয়েছে আর কি কি কাজ করা যাবে না ইত্যাদি এগুলোর নিচে উল্লেখ করা হলো ঃ

  • সর্বপ্রথম ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে
  • না জেনে কোন প্রকার ওষুধ খাওয়ানো যাবে না
  • জ্বর হলে ডক্টরের সাজেস্ট করা ওষুধ খাওয়াতে হবে
  • ভারী জাতীয় খাবার খাওয়ানো যাবে না
  • হালকা খাবার খাওয়াতে হবে
  • বেশি বিশ্রাম করাতে হবে
  • তরল জাতীয় খাবার বেশি খাওয়াতে হবে
  • পানি বেশি খাওয়াতে হবে
  • বাচ্চা যদি বমি করে তাহলে হালকা জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে
  • ফুটানো পানি খাওয়াতে হবে
  • বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে
  • ডাক্তারের সাজেস্ট করার নিয়মিত ওষুধ খাওয়াতে হবে
  • জিং ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে
  • তৈলাক্ত কোন খাবার খাওয়ানো যাবে না
  • বাহিরের কোন খাবার খাওয়ানো যাবে না
  • সবজি জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে
উপরে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো হচ্ছে যদি বাচ্চার টাইফয়েড হয়ে থাকে তাহলে আপনার করণীয় কি রয়েছে এবং কি করা যাবে না তা তুলে ধরা হয়েছে।

আপনার বাচ্চার টাইফয়েড যদি হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই নিয়মগুলো যদি পালন করেন তাহলে আপনার বাচ্চা দ্রুত টাইফয়েড থেকে সুস্থ হবে এবং ভালো থাকবে ইংশাল্লাহ।

টাইফয়েড জ্বর ভালো হতে কতদিন লাগে

টাইফয়েড জ্বর হলে টাইফয়েডের জ্বর ভালো হতে ১০ থেকে ১৫ দিনের মতন সময় লাগে। কারো কারো ক্ষেত্রে আবার একটু বেশি সময় লাগে।

জ্বর থাকাকালীন সময় ডক্টরের সাথে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াতে হবে তাহলে ইনশাআল্লাহ দ্রুত বাচ্চাটি টাইফয়েড থেকে সুস্থ হবে। জ্বর থাকবে টেনশনের কোন কারণ নাই ডক্টরের সাথে পরামর্শ নিতে হবে।

টাইফয়েড জ্বর ধীরে ধীরে ঠিক হতে থাকে। যদি টাইফয়েড জ্বর হয়ে থাকে তাহলে সর্বনিম্ন দশ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এজন্য টাইফয়েড হলে অতি দ্রুত ডক্টরের সাথে পরামর্শ নেয়া উচিত।

শেষ কথা ঃ বাচ্চাদের টাইফয়েড থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

প্রিয় পাঠক আপনি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন যে আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলের ভিতর আলোচনা করার চেষ্টা করলাম বাচ্চাদের টাইফয়েড হলে করণীয় কি এবং তা থেকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় ইত্যাদি এরকম সকল তথ্য সম্পর্কে।

প্রিয় পাঠক আপনার বাচ্চার বা যদি কারো টাইফয়েড হয়ে থাকে তাহলে আপনি আজকের আর্টিকেলটি সম্পর্কিত উল্লেখিত করণীয় এবং অকরণীয় গুলো যদি মানতে পারেন তাহলে আপনি আপনার বাচ্চা দ্রুত টাইফয়েড থেকে সুস্থ করতে পারবেন।

আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে দিন আমাদের কমেন্ট বক্সে। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সবার কাছে। আজকে আর্টিকেলটি কিন্তু পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লার্নিং পয়েন্ট ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url